দশ বছরের অভিজ্ঞ মাহমুদ হাসান খানের সাথে কথা হলো এবার। পর্যটন তার নেশা। কথায় উঠে আসলো পর্যটন শিল্পের নানা দিকের কথা।
এবারের আমাদের মুক্ত কথোপকথনের অতিথি মাহমুদ হাসান খান।
আপনি কত দিন যাবত পর্যটনের এ ধারায় আছেন?
- আমি প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট আছি।
আপনার অতীত ও বর্তমান পেশা নিয়ে কিছু বলুন?
- আমি পেশায় একজন বিপনণ মহাব্যাবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছি। পর্যটন আমার নেশা।
কোন ভাবনা থেকে বেড়াই বাংলাদেশের শুরু?
- দেশেও বেড়াও দেশের মানুষ...এই স্লোগান নিয়ে বেড়াই বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। দেশের যুব সমাজকে দেশের পরিচিত অপিরিচিত পর্যটন স্থানগুলোতে ভ্রমণে উদ্ধুদ্ধ করাই ছিলো এর উদ্দেশ্য। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর। এদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে সৌন্দর্য। আর সে সৌন্দর্যের স্বাদ যাতে সবাই নিতে পারি আমরা তার দিক নির্দেশনা দিই।
বেড়াই বাংলাদেশের পাশাপাশি কি করছেন আপনি?
- আমি ট্রাভেল হেলপিং এর সাথেও জড়িত। বিদেশী টুরিষ্টদের নানানভাবে সহায়তা করি বাংলাদেশ ভ্রমণে। আমার একটি ওয়েবসাইট আছে। এর মাধ্যমে চেষ্টা করি তাদের সেবা দিতে। ওয়েব সাইটটি হলো - www.trip2bangladesh.com/
বর্তমানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলুন?
- এটি দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য হুমকিস্বরুপ। আসলে এসব রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পর্যটনকে ধংশ করে দেয়। বিদেশী পর্যটকরা নিরাপত্তহীন বোধ করেন। ফরে তারা পারতপক্ষে আসেন না এদেশ ভ্রমণে।
আপনার কি মনে হয় যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প পিছিয়ে পড়ছে আবার?
- অবশ্যই।
আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমানের পর্যটন শিল্পের অবস্থা বলুন?
- আমাদে পর্যটন আসলে শিল্প হিসেবে গড়ে ওঠেনি। এখানে পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই। নেই পেশাদারী মনোবাভ। সরকারের উচিত এদিকে দৃষ্টি দেয়া।
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য কি কি পদক্ষেপ নিলে তা ভ্রমণের সহযোগী হবে বলে আপনার মনে হয়?
- প্রথমত ব্যপক প্রচার চালাতে হবে। পর্যটন বান্ধব পরিবেশ তৈরী করতে হবে। ভিসা ফি কমাতে হবে। পর্যটকরা যাতে আপডেট তথ্য পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
ধন্যবাদ মাহমুদ হাসান খান।
- আপনাকেও ধন্যবাদ।