আগামী 'শীত থেকে' ঢাকা-ইয়াঙ্গুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিডিনিউজ
সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। তাদের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এয়ারওয়েজও ওই সময়ের মধ্যে ইয়াঙ্গুনে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে।
২০০৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান যোগাযোগ ছিল। কিন্তু লাভজনক না হওয়ায় এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে বিমান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বর্তমানে ঢাকা থেকে মিয়ানমার যেতে হলে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর অথবা কুয়ালালামপুর ঘুরে যেতে হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিপণন (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্্প্রতি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে ঢাকা-ইয়াঙ্গুন রুটে পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর বিমান পুনরায় এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষে আগামী শীত মৌসুম অর্থাৎ নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে এই রুটে ফ্লাইট কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শাহনেওয়াজ।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুটি বোয়িং ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা-ইয়াংগুন-ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার এ টি এম নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
'অনুমতি মিললে মিয়ানমার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে করতে আগামী শীতকাল পর্যন্ত সময় লেগে যাবে,' বলেন তিনি।
ইউনাইটেড কর্মকর্তা জানান, যাত্রী কম থাকায় প্রাথমিকভাবে ব্যংককের কানেকটিং ফ্লাইট দিয়ে ইয়াঙ্গুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন তারা।
প্রাথমিকভাবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এই রুটে ৬৬ আসনের প্রপেলার বেজড এটিআর মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানান তিনি।
'তবে ভবিষ্যতে যাত্রী বাড়লে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হবে,' বলেন নজরুল।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। চুক্তির আওতায় এই দুই দেশের বিমান সংস্থাগুলো সপ্তাহে ৭টি যাত্রীবাহী ও ৪টি করে কার্গো উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে পারবে।