মহাসেন দাদা কিংবা মহসীন ভাই, নাম যাই হোক না কেন, ধর্ম কিন্তু তার একই হবে। আর তা শুধুই ধ্বংস। তার ১৩০০ কিমি গতির বিরুদ্ধে প্রথম যিনি রুখে দাঁড়াবেন তার নাম নিশ্চতভাবেই সুন্দরবন। মুসলিম নারী নার্গিস, মালদ্বীপের জলচর প্রাণী আইলা, শ্রী্লংকান সিডর, সবার বিরুদ্ধে প্রথম যোদ্ধার ভূমিকায় কিন্তু এই সুন্দরবনই দাঁড়িয়েছিল। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে।
সুন্দরবন শুধুমাত্র ৬০০০ বর্গ কিলোমিটারের একটি বনাঞ্চল নয়, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য শুধু ইউনেস্কো ঘোষিত একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটই নয়। এই বন বিভিন্ন ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে উপকূলীয় মানুষকে বাচাঁনোর একমাত্র রক্ষাকবচ। এটি পাঁচ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার একমাত্র আশ্রয়। এই সুন্দরবন পৃথিবীতে একটিই। এটি বাঙ্গালীর অহংকার।
অথচ অকৃতজ্ঞ মানবকূল আজ দাঁড়িয়েছে সুন্দরবনের বিরুদ্ধে। এই অনন্য সুন্দরবনের অস্তিত্ব বিপন্নকারী ১৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল মেগাপ্রজেক্ট হতে যাচ্ছে দায়সারা সব যুক্তি আর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে। সদ্য প্রকাশিত রামপাল প্রকল্পের ইআইএ রিপোর্টে সত্যকে আড়াল করে নানা গুরূত্বপূর্ণ দিক দূর্বলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রামপাল প্রকল্প করে বিদ্যুৎ পাবার লোভে সুন্দরবনকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে মৃত্যুর দিকে। মাহবুবুর রহমান অপু বলেন,“আমাদের সুন্দরবন এবং প্রস্তাবিত রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইস্যু নিয়ে রেডিও অস্ট্রেলিয়া একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রতিবেদনটি অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এবং পরিবেশ প্রকৌশলী কল্লোল মস্তোফার দেয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা।” সুন্দরবন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ধীরে ধীরে অনুসন্ধানী হয়ে ওঠাটা প্রেরণা জাগানিয়া বাংলাদেশীদের জন্য।