এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট। ‘অর্থনৈতিক
উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’
শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট
পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম
মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী
হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো আ হ ম
মুস্তফা কামালের উত্থাপিত এই বাজেটে কিছু
পণ্যে শুল্ক ও করহার কমানোর
পাশাপাশি অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কমতে পারে এসব পণ্যের দাম।
প্রস্তাবিত
বাজেটে অটোমোবাইল, ফ্রিজ, এসির ওপর মূল্য সংযোজনের (মূসক) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
একই
কারণে দাম কমতে পারে দেশীয় সর্ষের তেলের। স্বর্ণ আমদানিতেও মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছ। ফলে স্বর্ণের দাম কমতে পারে।
নিত্যপ্রয়োজনীয়
দ্রব্য যেমন-চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার পাঁচ শতাংশ, যা ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষে
দুই শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রসুন ও চিনি আমদানি
পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কাপড়
পরিষ্কার করার ডিটারজেন্টের দামও কমতে পারে। প্রস্তাবি বাজেটে ডিটারজেন্টের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শুল্ক কমানো হয়েছে ইস্পাত শিল্পের রিফ্রাক্টরি সিমেন্টের ওপরও।
রেফ্রিজারেটর
ও এসির কাঁচামাল আমদানিতে বর্তমান যে রেয়াতি সুবিধা
রয়েছে তা বাড়ানোর প্রস্তাব
করা হয়ছে। ফলে রেফ্রিজারেটর ও এসির দাম
কমতে পারে। দাম কতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের। কারণ
এসব পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
কৃষিপণ্য
রোলার চেইন, বল-বেয়ারিং, এমএস
শিট, গিয়ার বক্স ও পার্টস, টায়ার-টিউবের শুল্ক কমানো হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। ফলে এসব পণ্যের দামও কমতে পারে।
সয়াবিন
তেলের কেকের শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য ও সয়া প্রোটিনের
ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ থেকে
কমিয়ে শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দেশীয়
শিল্পের প্রতিরক্ষণে মর্টার, ফটো সেনসেটিভ প্লেটের শুল্ক পাঁচ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া কম্প্রেসার শিল্পে লুব্রিকেটিং বা কাটিং ওয়েল
এবং বিটুমিন মিনারেল ওয়েলের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে
কমিয়ে এক শতাংশ করার
প্রস্তাব করা হয়েছে।